রান্নায় এক ফোঁটা ঘি পড়লে স্বাদই যেন বদলে যায়। খুব সাধারণ কোনও খাবারও অসাধারণ হয়ে উঠতে পারে ঘিয়ের গুণে। তবে শুধু রান্নায় স্বাদ আনা নয়। ঘি শরীরের জন্যও বেশ স্বাস্থ্যকর। বিশেষ করে এই বর্ষায় সুস্থ থাকতে ঘি খাওয়া জরুরি। বর্ষার মরসুম মানেই সংক্রমণের ভয়। সেই সঙ্গে পেটখারাপ, হজমের গোলমাল তো লেগেই আছে। বর্ষার আবহাওয়ায় ত্বক, চুলও শুষ্ক এবং রুক্ষ হয়ে পড়ছে। এই সব কিছুর সমাধান কিন্তু লুকিয়ে রয়েছে ঘিয়ে। বর্ষায় শরীরের যত্ন কী ভাবে নেবে ঘি?
হজমশক্তি ভাল রাখে
গরমের মতো বর্ষাতেও হজমের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। ঘিয়ের গুণে পেট সুস্থ রাখা যায়। ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের কারণেই মূলত এমন হয়ে থাকে। ঘি সেই সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। সেই সঙ্গে উপকারী ব্যাক্টিরিয়ার জন্ম দেয়। পেট ফাঁপা, গ্যাস-অম্বল, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব ঘি খেলে।
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
রোগের সঙ্গে লড়াই করার জন্য চাই প্রতিরোধ ক্ষমতা। সেই ক্ষমতার উৎস হল ঘি। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি, ই, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো উপাদান। আছে শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও। এই উপাদানগুলি শরীরে ভিতর থেকে শক্তি জোগায়। সহজে রোগবালাই বাসা বাঁধতে পারে না।
চুলের যত্নে
বাতাসে আর্দ্রতা ক্রমশ গাঢ় হচ্ছে। এই আর্দ্রতার কারণে চুল অত্যধিক তৈলাক্ত হয়ে পড়ছে। শ্যাম্পু করার পরের দিনই চুল নিস্তেজ হয়ে পড়ছে। জৌলুসও কমে যাচ্ছে। চুলে জেল্লা ধরে রাখতে ঘি খেতে পারেন। চুল ভাল রাখতে শরীরে ভিটামিন ই, কে২, এ পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকা জরুরি। এই প্রতিটি উপাদান রয়েছে ঘিয়ে। চুলের রুক্ষ ভাব দূর করে মসৃণতা আনে ঘি।
ত্বক ভাল রাখতে
শুধু চুল নয়, ঘি খেয়াল রাখে ত্বকেরও। বর্ষায় অনেকেরই মুখ ভরে যায় ব্রণ আর র্যাশে। ত্বক ভাল রাখতে ঘি কার্যকরী। ঘি ত্বকের সজীবতা বজায় রাখে। ভিতর থেকে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে ঘি। ত্বকের কালো দাগছোপ দূর করতেও ঘি বেশ উপকারী।