যেভাবে ধাপে ধাপে ম্যানিকিউর করতে হয়

বিডি নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ০৯ জুলাই ২০২৩, ১৭:২৫

হাতের যত্নে ম্যানিকিউর করা কেবল নখের সৌন্দর্যই বাড়ায় না বরং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্যও প্রয়োজনীয়।


সারাদিন হাত দিয়ে অনেক কাজ করা হয়। অনেক কিছু স্পর্শ করা হয়। ফলে ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়ার সংস্পর্শে থাকে নখ।


হাত যখন তখন মুখ, চোখ ও নাকের সংস্পর্শে আসে তাই নখ পরিষ্কার রাখার মাধ্যমে ময়লা, জীবাণু ও ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ কমানো যায়।


হেল্থশটস ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে ঘরে বসে ম্যানিকিউর করার উপায় সম্পর্কে জানানো হল।


ধাপ ১: প্রয়োজনীয় জিনিস যোগাড় করা


ম্যানিকিউর শুরু করার আগে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম হাতের কাছে রাখতে হবে। যেমন- নেইল পলিশ রিমুভার, তুলার বল বা প্যাড, নেইল ক্লিপার, নেইল ফাইল, কিউটিকেল পুশার, কিউটিকেল তেল, হ্যান্ড স্ক্রাব বা এক্সফলিয়েন্ট, ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম, বেইজ কোট, পছন্দের নেইল পলিশ, টপ কোট, নেইল পলিশ কারেক্টর পেন (ঐচ্ছিক)।


ধাপ ২: পুরান নেইল পলিশ তুলে ফেলা


নখে নেইল পলিশ থাকলে তুলার বল ও রিমুভারের সাহায্যে তুলে নিতে হবে। কড়া বা গ্লিটারি নেইল পলিশের জন্য অ্যাসিটোন সমৃদ্ধ রিমুভার এবং সাধারণ নেইল পলিশের জন্য ‘নন-অ্যাসিটোন রিমুভার’ ব্যবহার করতে হবে।


রিমুভার তুলার বলে শোষিত হলে, সেটা দিয়ে আলতোভাবে নখ থেকে নেইল পলিশ তুলে নিতে হবে। 


ধাপ ৩: নখের আকার ঠিক করা


নেইল ক্লিপ ব্যবহার করে নখের আকার ঠিক করতে হবে। আঙ্গুলের সাথে মানানসই এমন আকার বেছে নেওয়াই ভালো।


এরপর নেইল ফাইলার দিয়ে নখের শেষ প্রান্ত সমান করে নিতে হবে। ফাইলিং কেবল সামনের দিকে করতে হবে, পেছন দিকে ফাইল করা হলে নখ শক্তিশালী ও সুন্দর হওয়ার বদলে দুর্বল হয়ে যায়।

ধাপ ৪: হাত ও কিউটিকেলের যত্ন


বাটিতে কুসুম গরম পানি নিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা মৃদু হ্যান্ড সোপ বা হ্যান্ড স্ক্রাব নিতে হবে। এতে কয়েক মিনিট হাত ডুবিয়ে রাখলে কিউটিকেল নরম হয়ে আসবে। এরপর কিউটিকেল পুশারের সাহায্যে হালকা চাপ দিয়ে কিউটিকেল কেটে নিতে হবে। সংক্রমণ ও ব্যথা এড়াতে সাবধানে এই ধাপ সম্পন্ন করতে হবে।


কয়েক ফোঁটা কিউটিকেল তেল হাতে নিয়ে নখে মালিশ করতে হবে। এতে কিউটিকেল মসৃণ ও আর্দ্র থাকবে। 


ধাপ ৫:  এক্সফলিয়েট ও ময়েশ্চারাইজার


হাত কোমল ও মসৃণ রাখতে স্ক্রাব বা এক্সফলিয়েন্ট দিয়ে আলতোভাবে মালিশ করে নিতে হবে। অপেক্ষাকৃত শুষ্ক ও খসখসে স্থানে ভালোমত স্ক্রাব করে ভালো মতো ধুয়ে নিয়ে হবে।


এরপর আর্দ্রতা রক্ষাকারী ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম হাত ও কিউটিকেলে মালিশ করে নিতে হবে।


ধাপ ৬: বেইজ কোট, নেইল পলিশ ও টপ কোট- এই ধারাবাহিকতা অনুসরণ করতে হবে


এই ধাপে নখে পছন্দের নেইল পলিশ পরে নিতে হবে। প্রথমে পাতলা করে বেইজ কোট ব্যবহার করতে হবে এতে নেইল পলিশ দেখতে সুন্দর লাগে। বেইজ কোট শুকিয়ে আসার পরে পছন্দের নেইল পলিশ পাতলা করে দুবার ব্যবহার করতে হবে এবং প্রতিবার শুকানোর পরে পুনরায় ব্যবহার করতে হবে।


সব শেষে টপ কোট ব্যবহার করতে হবে। এতে ব্যবহৃত নেইল পলিশের রং ও উজ্জ্বলতা বজায় থাকে।


ধাপ ৭: চুড়ান্ত পর্যায়


নেইল পলিশ নখের আশপাশে লেগে গেলে তা পরিষ্কার করতে নেইল পলিশ কারেক্টার পেন বা ছোট ব্রাশে নেইল পলিশ রিমুভার নিয়ে চারপাশ মুছে নিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন ব্যবহৃত নেইল পলিশ সম্পূর্ণ শুকনা থাকে। না হলে ছড়িয়ে বা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।


এই ধাপগুলো অনুসরণ করলে ঘরেই স্যালনের মতো সুন্দর হাত ও নখ পাওয়া যায়। তবে মনে রাখতে হবে, ম্যানিকিউর করতে যথেষ্ট সময়, পরিশ্রম ও ধৈর্য্যের প্রয়োজন হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us