বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে দেশে ও দেশের বাইরে অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বেশ সোচ্চার। দেশের ভেতরে যাঁরা সোচ্চার, তাঁরা সবাই বিদেশের অর্থে এই গলাবাজি করেন। আর এই মানবাধিকার নিয়ে তখনই সবাই খুব সোচ্চার হন, যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকে। আর অবাক হতে হয় যখন দেশের অন্য একটি রাজনৈতিক দল আইন করে সংবিধানে সংশোধনী এনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অধিকার আদায় করে, তখন দেশে ও দেশের বাইরে সবাই কোনো প্রতিবাদ ছাড়া তা মেনে নেয়।
৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিজ বাসভবনে তাঁর পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে সেনাবাহিনীর একদল বিপথগামী অফিসার ও সৈনিক নৃশংসভাবে হত্যা করার মধ্য দিয়ে। হত্যার এই পরিকল্পনা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিফহাল ছিলেন বিএনপি নামের দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। বর্তমানে বিএনপি কয়েকটি প্যাডসর্বস্ব দল নিয়ে দেশের একটি নির্বাচিত সরকারকে উত্খাত করে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর। তাদের মতে, তারা নাকি দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে।