ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অভূতপূর্ব দহরম-মহরম দেখা যাচ্ছে। দুই দেশের অভাবিত এ ঘনিষ্ঠতা বিভ্রম-জাগানিয়া। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের রাষ্ট্রীয় নৈশভোজের আয়োজন কিংবা মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে মোদিকে ভাষণ দিতে মার্কিন স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থির আমন্ত্রণের পর যে কেউ ভাবতেই পারেন—কিসের আশায় যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে এত খাতির করছে।
রাষ্ট্রীয় ভোজ না হয় প্রতীকী, বুঝলাম। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র একই সঙ্গে কোনো সামরিক চুক্তি ছাড়াই ভারতকে সামরিক প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে; নিজ দেশের করপোরেশনগুলোকে ভারতে বিনিয়োগে উৎসাহ দিচ্ছে; ভারতীয়দের জন্য মার্কিন ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করেছে। সর্বোপরি, গণতান্ত্রিক পশ্চাৎপসরণের জন্য ভারতকে যুক্তরাষ্ট্র আর আগের মতো সমালোচনার তোপের মুখে রাখছে না। এ সবকিছু দেখে মনে হতেই পারে যুক্তরাষ্ট্র একতরফা ভারতের প্রেমে পড়েছে। নিমরাজি ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এ আধাখেঁচড়া একপক্ষীয় জোটের পক্ষে কৌশলগত যুক্তি হচ্ছে যে বৈশ্বিক ভূরাজনীতিতে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব প্রশমন করতে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।