বোকো হারামের জঙ্গিরা যখন আলহাদজি ইয়ারোর গ্রাম লেক চাদে তাণ্ডব চালায়, তখন তিনি কিশোর। তাঁর স্পষ্ট মনে আছে, মানুষের দিকে বন্দুক তাক করে জঙ্গিরা তাদের দলে ভেড়ার প্রলোভন দেখিয়ে বলছিল, ‘আমরা তোমাদের উন্নত জীবন দেব।’
ইয়ারো ভয় পেয়েছিলেন, কিছুটা কৌতূহলও ছিল। তিনি বলছিলেন, তিনি প্রাচুর্যের মধ্যে বেড়ে উঠেছেন। এরপর জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে তাঁদের পরিবারের আবাদি জমিতে শস্যের উৎপাদন কমতে থাকে। ২০১৫ সালে বোকো হারামের ওই তাণ্ডবের আগে বন্যায় ভু্ট্টা, বাজরা—সব নষ্ট হয়ে যায়।
গবেষকেরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা বাড়ছে। বাড়ছে খরা, কমছে বৃষ্টিপাত। এই পরিবর্তিত পরিস্থিতি বোকো হারামের তৎপরতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে, জঙ্গিদের সহিংসতায় ইন্ধন জোগাচ্ছে। জঙ্গিগোষ্ঠীর সাবেক সদস্য, সামরিক কর্মকর্তা ও গবেষকেরা বলছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে আত্মপ্রকাশ করা বোকো হারামের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন একটা ‘সুযোগ’ এনে দিয়েছে।