অনেকটা শখের বশে ২০১৩ সালে বিদেশি ‘টার্কি পাখি’ পালন শুরু করেছিলেন রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা মো. আবদুর রউফ। বছরখানেকের মধ্যেই তিনি দেখতে পান বাজারে এ পাখির চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। এ কারণে বাণিজ্যিকভাবে এই পাখি পালনের উদ্যোগ নেন তিনি। বিনিয়োগ করেন লক্ষাধিক টাকা।
টার্কির বাণিজ্যিক লালন–পালনের শুরুর দিকে ভালোই আয় হচ্ছিল আবদুর রউফের। তবে পাঁচ বছর না যেতেই তাঁর সেই বেচাকেনায় ভাটা পড়ে। একপর্যায়ে লোকসানের মুখে পড়ে ২০২১ সালে বন্ধ করে দেন টার্কির ব্যবসা। প্রথম আলোকে আবদুর রউফ বলেন, ‘হঠাৎ জনপ্রিয়তা পেলেও টার্কির টেকসই বাজার ও ভোক্তা চাহিদা তৈরি হয়নি। এ কারণে এই ব্যবসায় ভালো করতে পারিনি।’
এদিকে, ২০১৫ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে দেশে টার্কি পাখি পালনে সাফল্যের খবর ব্যাপকভাবে প্রচার হয়। এসব সাফল্যের খবর শুনে আব্দুর রউফের মতো কয়েক হাজার উদ্যোক্তা দেশের বিভিন্ন স্থানে টার্কি পালন শুরু করেন। তবে ২০১৯ সাল থেকে চাহিদায় ভাটা পড়ে। করোনার পর দেশে টার্কির বাজার একদমই কমে যায়। বলা যায়, হঠাৎ এসে সাড়া ফেলে আবার হঠাৎই হারিয়ে যায় টার্কির ব্যবসা।