সম্প্রতি বিশ্বের ৬৫টি উন্নয়নশীল দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধার্থে 'ডেভেলপিং কান্ট্রিজ ট্রেডিং স্কিম' (ডিসিটিএস) চালু করেছে যুক্তরাজ্য। এই স্কিমের আওতাধীন উন্নয়নশীল দেশগুলো অপেক্ষাকৃত কম শুল্ক, এমনকি অনেকক্ষেত্রে শুল্ক ছাড়াই ব্যবসা করতে পারবে। ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাজ্যের এই স্কিমের বড় সুবিধাভোগী হতে চলেছে বাংলাদেশ। তবে স্কিমটির অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য পূরণ করতে হবে বেশকিছু শর্ত; যার মধ্যে রয়েছে- শ্রম অধিকার, মানবাধিকার, নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন পরিচালনা করা ইত্যাদি। যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী নাইজেল হাডলস্টন এমপি মঙ্গলবার (৫ জুলাই) প্রথমবার ঢাকা সফরকালে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট জেবুন নেসা আলোর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব বিষয় বিস্তারিত জানান।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২০২২ সালে রেকর্ড ৪.৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এরই মধ্যে আবার ডিসিটিএস চালু করেছে যুক্তরাজ্য। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ওপর এই ডিসিটিএস কেমন প্রভাব রাখবে?
আপনি ঠিক বলেছেন। এটি সত্যিই একটি বড় পরিমাণ। তবে আমার মনে হয়, আমরা আরও অনেক কিছু করতে পারি। দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে বেশি পরিমাণে রপ্তানি হলেও যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে অল্প পরিমাণে রপ্তানি হয়। অর্থাৎ, এই মুহূর্তে এখানে অসমতা রয়েছে। কিন্তু আমরা মনে করি, আমরা উভয় পক্ষের সুবিধার্থে পণ্য ও পরিষেবা- দুটি ক্ষেত্রেই দুই দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বাড়াতে পারি।