এ বছরের মতো জামের মৌসুম শেষ। গ্রীষ্মের শেষের দিকে খুব কম সময়ের জন্য জামের ফলন হয়। দাম মোটামুটি নাগালের মধ্যে হওয়ায় এই ফল কিনে খেতে পারেন সবাই। সাধারণত জাম খাওয়ার পর বীজগুলো ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু এই দৃশ্য দেখলে হয়তো অবাক হবেন যে কারওয়ান বাজারের ফলের আড়তে ফল বিক্রেতারা ভালো জাম থেকে বীজ আলাদা করে নিচ্ছেন সেগুলো কেজি দরে বিক্রি করার জন্য।
অদ্ভুত এই দৃশ্য দেখলে যে কেউ ভাবতে পারেন যে ভালো জামগুলো কেন নষ্ট করা হচ্ছে? উত্তর দিলেন জাম বিক্রেতা সানোয়ার হোসেন। বলেন, ‘ওষুধ তৈরির জন্য জামের বীজ কিনে নেয় ওষুধ কোম্পানি আর বাকিটা যায় বিভিন্ন জুসের দোকানে। পুরোটাই লাভ।’
অনেকেই মনে করেন, জামের বীজ রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে জাম খাওয়ার পর জামের বীজগুলো ফেলে না দিয়ে সেগুলো গুঁড়া করে খেয়ে ফেলেন। কিন্তু সত্যিই কি এর কোনো স্বাস্থ্যগত উপকারিতা আছে? আর কতটুকুই-বা খেতে হবে?