প্রথম আলো: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ডলার–সংকট শুরু হয়, যা এক বছরের বেশি সময় ধরে চলছে। ডলার–সংকট কতটা সামাল দিতে পেরেছেন?
এমরানুল হক: ঢাকা ব্যাংকের দেওয়া ঋণের ৮৫ শতাংশ গেছে করপোরেট খাতে। এর বড় অংশই আবার বাণিজ্যনির্ভর। অর্থাৎ পোশাক ও টেক্সটাইল, রড–স্টিল এবং ভোগ্যপণ্য খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোই আমাদের বড় গ্রাহক। ডলারের সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক খুবই নিবিড়। সে জন্য ডলারের সংকট যখন শুরু হলো, তখন আমরা খুবই সমস্যায় পড়ে যাই। এরপর সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক নানা উদ্যোগ নেওয়ায় আমদানি কমে যায়। ফলে আমাদের ব্যবসার সঙ্গে আয়ও কমে যায়। বিদেশি দায় পরিশোধে আমাদের যে প্রতিশ্রুতি ছিল, সেটি মেটানোর মতো ডলার আমরা বাজারে পাইনি। ভালো পোশাক কারখানাগুলো আমাদের গ্রাহক হওয়ায় ও প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় ডলারের আয় ভালো হয়েছে। তাতে কোনোমতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হয়। বিদেশি কোনো দায় পরিশোধে আমরা ব্যর্থ হয়নি, এটা একটা বড় অর্জন। তবে আমাদের সংকটের প্রায় ৮০ শতাংশ কেটে গেছে। আগে আমাদের ডলার আয়ের চেয়ে ডলার খরচ বেশি ছিল। এখন চাহিদা ও জোগান সমান হয়ে গেছে।