বেতন স্কেলের গ্রেড বা ধাপ ২০ থেকে কমিয়ে ১০টি করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গত ২৫ জুন সংসদে তিনি এর সুযোগ রয়েছে বলে জানান। অর্থমন্ত্রী যদি এ কাজটি করতে পারেন, তাহলে সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজেদের মধ্যে যে বৈষম্য, তা কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। কিন্তু বেতন ধাপ কমানোর বড় বাধা হচ্ছেন আমলারা। তারা বেতনের ধাপ না কমিয়ে বরং আরও বাড়াতে চান।
এ অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে অর্থমন্ত্রী চিন্তাকে বাস্তবে রূপ দিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে। যদিও বেশিরভাগ চাকরিজীবী বেতনের ধাপ কমানোর পক্ষে। বেশিরভাগ বলতে কত ভাগ? যেখানে ৫১ ভাগ হলেই সেটা বেশিরভাগ। সেখানে প্রায় ৮১ দশমিক ৬ শতাংশ কর্মচারী বেতন ধাপ কমানোর পক্ষে। এ তথ্য ফরাসউদ্দিন কমিশনের।
১৯৭৭ সাল পর্যন্ত বেতন ধাপ ১০টিই ছিল। পরে তা বাড়িয়ে ২০টি করা হয়। ২০১৫ সালে তা আরও দুই ধাপ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে বিভিন্ন ধাপের সরকারি কর্মচারীদের বেতন বৈষম্য বেড়েছে। এ বৈষম্য কমানোর জন্য বিভিন্ন স্তরের সরকারি কর্মচারীরা দাবি জানিয়ে আসছেন। সম্প্রতি বিষয়টি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে সরকারি চাকরিজীবীদের ৫ শতাংশ প্রণোদনা ভাতা দেওয়ার পর।
জাতীয় বেতন-কাঠামোর প্রথম ধাপে অর্থাৎ ১ নম্বর গ্রেডে বেতন-ভাতা পান সচিবরা। তাদের মূল বেতন ৭৮ হাজার টাকা। এ ধাপের ওপরও মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও মুখ্য সচিবের জন্য একটি এবং সিনিয়র সচিবদের জন্য আরও একটি বিশেষ গ্রেড রয়েছে। আর শেষ অর্থাৎ ২০তম ধাপের মূল বেতন ৮ হাজার ২৫০ টাকা।