একসময় কুষ্টিয়ায় বেশ কয়েকটি হাওর-বাঁওড় ছিল। এসব জলাশয় ছিল মৎস্যজীবীদের মৎস্য আহরণ ও আয়ের অন্যতম উৎস। তবে দখলে-দূষণে জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া আটটি নদ-নদী হারিয়ে যেতে বসেছে। হাওর-বাঁওড় বলতে গেলে এখন আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। দখলদারের পেটে চলে গেছে হাওর-বাঁওড়। সেখানে গড়ে উঠেছে ঘরবসতি।
জেলায় বর্তমানে যে দুটি হাওর ও বাঁওড় রয়েছে সে দুটিও এখন অস্তিত্ব সংকটে। সেখানে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের মাছচাষের সুযোগ নেই। দখলদারিত্ব চলে গেছে প্রভাবশালীদের হাতে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রশস্ততা কমিয়ে ভুল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে কুষ্টিয়ার খোকসার সিরাজপুর হাওরটি এখন মৃত খালে পরিণত হয়েছে। বর্ষায়ও পানি নেই। নদীর দুই তীরের কয়েক লাখ বিঘা কৃষি জমির সেচ সুবিধা বন্ধ হয়ে গেছে। মৎস্য চাষের প্রকল্পটি বন্ধ হওয়ার উপক্রম। সবশেষ খননের পর এক ইউপি চেয়ারম্যান নিজে মাছচাষ করার জন্য বাঁধ দিয়ে হাওর দখল করে নিয়েছেন।