‘কোরবানির মাংসের যথাযথ বণ্টন অনেকে করেন না’

ডেইলি স্টার কাজী মদীনা প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২৩, ২২:০২

কাজী মদিনা। পুরো নাম কাজী গুলশান নাহার। জন্ম ২১ নভেম্বর ১৯৪২ সালে রংপুর জেলায়। বাবা প্রখ্যাত সাংবাদিক কাজী মোহাম্মদ ইদরিস। বাবার পরিচয় সূত্রে মদিনা নামটি দিয়েছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তার প্রথম জীবন কেটেছে কালকাতায়, পরে ঢাকায়।


১৯৬৪ সালের নভেম্বরে পাকিস্তান টেলিভিশনে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু। এরপর তিনি সরকারি বদরুন্নেসা কলেজ, ইডেন কলেজ, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ ৫৬ বছর ধরে শিক্ষকতা করে আসছেন।


বাংলাদেশ টেলিভিশনের শুরু থেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠান গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা করে আসছেন। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে অর্জন করেছেন গোলাম মুস্তাফা আবৃত্তি পদক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় আবৃত্তি পদকসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সম্মাননা। সম্প্রতি তিনি তার কাজ ও সম-সাময়িক বিষয়ে কথা বলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে।


আপনার সাফল্যের পেছনে সাংবাদিক বাবার ভূমিকা কেমন ছিল?


কাজী মদিনা: আব্বার বিশাল ভূমিকা ছিল। আমার আব্বা কাজী মোহাম্মদ ইদরিস একজন উদার, অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল একজন সাংবাদিক ছিলেন। একেবারে ছেলেবেলা থেকেই আমি মুক্ত পরিবেশে বেড়ে উঠেছি। শিশুকালে কলকাতায় যে বাড়িতে ছিলাম, সেই বাড়ির ৩ তলায় থাকতেন প্রখ্যাত সাংবাদিক আবুল মনসুর আহমদ ও ২তলায় থাকতেন আবুল কালাম শামসুদ্দীন। এদের সান্নিধ্যে, আদরে বেড়ে উঠেছি। চাচাদের খুব কাছ থেকে দেখেছি, স্নেহ পেয়েছি। এতে আমি আজকের আমিতে পরিণত হয়েছি।


অনেক গুণী মানুষের সান্নিধ্য পেয়েছেন। পথচলায় বিশেষ কারও প্রেরণায় কথা মনে পড়ে?


কাজী মদিনা: আমি অনেক গুণী মানুষের কাছাকাছি এসেছি। ১৯৫০ সালে আমরা কলকাতা থেকে ঢাকায় চলে আসি। আমাদের বাড়িতে আসতেন তখনকার প্রথম সারির লেখক, কবি, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকরা। তাদের আলোচনা শিশুকাল থেকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। যখন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ি তখন সাংবাদিক সন্তোষ গুপ্তকে গৃহশিক্ষক হিসেবে পাই। তার পাণ্ডিত্য, লেখক সত্তা আমাকে উজ্জীবিত করেছে।


আমার জীবনে মায়ের ভূমিকা অনন্য। তিনি আমাকে সমাজের সব সংকট অতিক্রম করে পথ চলতে শিখিয়েছেন।


সমাজে নারীদের বেড়ে উঠতে বা সৃজনশীল কাজ করতে অনেক বাধা পেতে হয়। আপনার ক্ষেত্রে কী হয়েছিল?


কাজী মদিনা: না। আমাকে ব্যক্তিগতভাবে কোনো বাধা পেতে হয়নি। আমি আগেই বলেছি আসলে আমার বাবা-মা ছিলেন বেশ উদার মনের মানুষ। সেই সময়ে আমাদের বাড়িতে বড় বড় মানুষের অবাধ বিচরণ ছিল। তখনকার সময়ের প্রায় সব প্রগতিশীল রাজনীতিবিদ, লেখক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক সবারই আড্ডা ছিল আমাদের বাড়িতে। ছোটবেলা থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি প্রভাত ফেরিতে শহীদ মিনারে গিয়েছি। এইভাবে আমার বাবা-মায়ের উদারতার জন্যই পথ চলতে বাধা পাইনি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us