ইয়েভগেনি প্রিগোশিনের ভাগনার গ্রুপ রাশিয়ায় যে দক্ষযজ্ঞ বাঁধিয়ে দিয়েছে, তা সারা বিশ্বের সব রাজধানীর মনোযোগ কেড়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে সম্ভবত অন্য কোথাও ততটা তোলপাড় হয়নি, যতটা হয়েছে বেইজিংয়ে।
রাশিয়া চীনের একটি বিশ্বস্ত অংশীদার। শুধু এই কারণে বেইজিং এতটা উতলা হয়নি। এর পেছনে আরও একটি ঐতিহাসিক কারণ রয়েছে। কারণটি হলো, যে সপ্তাহান্তে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর মধ্যে বিভেদের ডঙ্কা বেজে উঠেছে, আজ থেকে ঠিক ১০০ বছর আগে একইভাবে চীনের সেনাবাহিনীর মধ্যে বিদ্রোহ দেখা দিয়েছিল, যা চীনকে দুর্বল করে ফেলেছিল।
আজ রাশিয়ার সেনাবাহিনী চার–পাঁচটি গ্রুপে ভাগ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে গেছে। রাশিয়ার মূল বাহিনী ও ভাগনার গ্রুপের সশস্ত্র যোদ্ধারা ছাড়া দেশটিতে ছোট ছোট বাহিনী আছে। যেমন মস্কোর মেয়রের অধীনে একটি বাহিনী আছে; চেচনিয়ার নেতা রমজান কাদিরভের স্থানীয় মিলিশিয়া বাহিনী আছে; এ ছাড়া রাশিয়ার মূল সেনাবাহিনীর বাইরে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কমান্ডের অধীনে বিশেষ ন্যাশনাল গার্ড বাহিনী আছে। এর বাইরে রাশিয়ার অলিগার্কখ্যাত ধনকুবেরদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও সম্পদ রক্ষায় নিজ নিজ বাহিনী আছে।