অ্যানজিনা হলো করোনারি ধমনির রোগের লক্ষণ। এর মানে হলো আক্রান্ত ব্যক্তির হার্ট অ্যাটাকের রয়েছে বড় ঝুঁকি। আর হার্ট অ্যাটাক হলো কোনো একটি করোনারি ধমনির ভেতর রক্ত জমাট বেঁধে এর পথরোধ হয়ে হৃদপেশিতে ক্ষতি হওয়া।
অ্যানজিনা আর হার্ট অ্যাটাকের মধ্যে তফাৎ হলো হার্ট অ্যাটাকের কারণে হার্টে রক্তের চলাচল এত দীর্ঘ সময় ব্যাহত হয়েছে যে হার্টের পেশির কিছু অংশের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু অ্যানজিনায় রক্তের সরবরাহ রোধ হয়েছে সাময়িকভাবে বা স্বল্প মেয়াদে। এর ফলে বুকে অস্বস্তি হয়েছে তবে স্থায়ী কোনো ক্ষতি হয়নি।
অ্যানজিনা কী?
রক্তনালির ব্যাপারে যদি ভাবি, তাহলে স্বাভাবিক সুস্থ মানুষের রক্তনালিতে আছে পেশির একটি পাতলা স্তর। সুন্দর আর পাতলা সেই আস্তরণ ব্যায়াম করলেও বেশ ঠিকঠাক থাকে। এতে সমস্যা নেই। তবে কালক্রমে রক্তের কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে এবং ধূমপানের অভ্যাস থাকলে কোলেস্টেরল আর চর্বি পলির স্তরের মতো জমতে থাকে রক্তনালির গায়ে। এভাবে আংশিক রুদ্ধ হয় ধমনিপথ। ব্যায়াম করার সময় ধমনীগুলো যথেষ্ট রক্ত দিতে পারে না হৃদপেশিতে। তখন সময় সময় বুকে অস্বস্তি আর আঁটসাঁট ভাব হতে থাকে। তবে বিশ্রাম করলে উপশম হয়। সাধারণত মিনিট পাঁচেকের মধ্যে অস্বস্তিভাব চলে যায়। তবে ব্যায়াম করতে থাকলে মারাত্মক বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।
হার্ট অ্যাটাক কী?
হার্ট অ্যাটাক হলে রক্তনালির ভেতরে চর্বিপুঞ্জ আর রক্ত জমাট দুটি মিলে পুরো রুদ্ধ করে রক্তনালি। একে ছাড়িয়ে যেহেতু কোনো রক্ত নালিপথে আর যেতে পারছে না, সেহেতু হৃৎপিণ্ডের পেশির এক অঞ্চলে এর উপশম না করা হলে সেই অঞ্চলের পেশি মরে যাবে। হার্ট অ্যাটাকের ব্যথা থাকে ২০ মিনিটের মতো। এর ফলে বুকে হতে থাকে তীব্র অটল ব্যথা, এর সঙ্গে অনান্য উপসর্গের সঙ্গে থাকতে পারে বমি বমি ভাব, ঘাম হওয়া আর শ্বাসকষ্ট। মনে রাখবেন, এ হলো মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি। এ সময় আক্রান্ত ব্যক্তিকে অবশ্যই হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।