কুরবানির পশুর হাট ধীরে ধীরে জমে উঠছে। রাজধানীর ২০টি হাটে রোববারও ট্রাকে ট্রাকে ঢুকেছে গরু-মহিষ, ছাগল। ক্রেতা সমাগম থাকলেও সেভাবে বিক্রি এখনো শুরু হয়নি। দর-দাম যাচাই করেই সময় পার করছেন ক্রেতারা। ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভাষ্য, এবার সব হাটেই পশুর দাম কিছুটা বেশি। কিছু ক্ষেত্রে গত বছরের চেয়ে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তি দাম চাওয়া হচ্ছে। দাম একটু কমাতে চলছে দরকষাকষি পর্ব। ইজারাদাররা বলছেন, ১-২ দিনের মধ্যে হাটগুলো জমে উঠবে। অনেক স্থানে ব্যস্ততম সড়কেই গরুর হাট দেখা গেছে। এ কারণে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া পাড়া-মহল্লার অলিগলিতে ছাগল বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে। রোববার ঢাকার বিভিন্ন হাটে ও পাড়া-মহল্লায় সরেজমিন এমন চিত্রের দেখা মিলেছে।
ব্যাপারীরা শুরু থেকেই বেশি দাম চাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন ক্রেতারা। বিক্রেতাদের ভাষ্য, বেশি দামে গরু কিনে কম দামে বিক্রি করলে আমাদের লোকসান হবে। তারা বলেন, এবার মাঝারি সাইজ অর্থাৎ এক থেকে দেড় লাখ টাকা দামের গরুর প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি। তারা ঘুরেফিরে এ ধরনের গরুর কাছেই ঘেঁষছেন। কিন্তু দাম বলছেন কম, কেউ কেউ এক লাখ টাকার কম দাম বলে চলে যাচ্ছেন। ফলে সেভাবে বিক্রি হচ্ছে না। তবে বাজেট আর পছন্দ মিলে গেলে কেউ কেউ পশু কিনেও ফেলছেন। অনেক ক্রেতা বলছেন, যেহেতু হাতে সময় আছে, অবস্থা দেখে ও বুঝে আরও পরে পশু কিনবেন।