উন্নতদর্শন শুভ্রবসন যে মানুষটি সারাজীবন মাথা উঁচু করে; আপসের লোভাতুর পথ পরিহার করে আন্দোলন ও সংগ্রামের পথটিতে অবিচল থাকতে পেরেছিলেন, তিনি শেষ পর্যন্ত দানবীয় ভাইরাস করোনার কাছে পরাভূত হলেন।
কামাল লোহানী সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে নিয়েছিলেন। ১৯৫৫ সালে দৈনিক মিল্লাত পত্রিকায় তাঁর সাংবাদিকতার সূচনা। এর পাশাপাশি তাঁর মার্ক্সবাদী মতাদর্শের পথ ধরে সাংস্কৃতিক সংগ্রাম ও আন্দোলনে একেবারে সামনের সারিতে যুক্ত থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সদ্য তারুণ্যে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে শরিক হন। কারাবাস ভোগ করতে হয় তাঁকে। আবার গ্রেপ্তার হন ১৯৫৪ সালে। এর পর তাঁকে জেলে যেতে হয় ১৯৬২’র ছাত্র আন্দোলনের সময়। তার দুই বছর আগে বিয়ে করেন চাচাতো বোন দীপ্তিকে, যিনি ছিলেন আমৃত্যু তাঁর সংগ্রামের সাথী।