বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালক পদে কোনো ব্যক্তির একাদিক্রমে দ্বাদশ বৎসর থাকিবার সুযোগ দিয়া ব্যাংক কোম্পানি আইনের যেই সংশোধনী বুধবার জাতীয় সংসদে পাস হইয়াছে, উহা বিস্ময়কর। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে দৃশ্যত ব্যাংকের মালিকগণের ‘আবদার’ পূরণেই যে এইরূপ পদক্ষেপ, উহাতে সন্দেহ নাই। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বেও আইনটিতে একই প্রকার সংশোধনী দেখিয়াছিলাম আমরা। যদিও সংশোধনের পূর্বে ব্যাংক কোম্পানি আইনে অভিন্ন পরিবার হইতে ‘মাত্র’ দুইজন পরিচালক হইতে পারিতেন এবং ঐ পদে ৬ বৎসরের অধিক থাকিতে পারিতেন না।
গত দফায় সংশোধন করিয়া অভিন্ন পরিবার হইতে সর্বোচ্চ চারজন পরিচালক নিযুক্তির সুযোগ থাকিলেও একই পদে একাদিক্রমে সর্বোচ্চ ৯ বৎসর থাকিবার বিধান যুক্ত হইয়াছিল। এই দফায় পারিবারিক পরিচালকের সংখ্যা তিনে নামিয়াছে বটে, মেয়াদ বাড়িল ৩ বৎসর। অর্থাৎ, পরিষ্কার সরল অঙ্ক– ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে ‘পারিবারিক ক্ষমতা’ ৩৬ বৎসরই থাকিতেছে। আমাদের বিস্ময় অন্যত্র।