জ্বালানির উচ্চমূল্য ও ঘাটতি দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার শঙ্কা

আজকের পত্রিকা অরুণ কর্মকার প্রকাশিত: ২৪ জুন ২০২৩, ১২:০৩

দেশের চলমান জ্বালানি ঘাটতি শিগগিরই না মিটে, বরং তা দীর্ঘস্থায়ী হবে–এ বিষয়টি এখন দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। একই সঙ্গে জ্বালানি ও বিদ্যুতের দামও যতটা বাড়ানো হয়েছে এবং হবে, কখনোই ততটা কমানো হবে না। তা সরকারের পক্ষ থেকে যতই বলা হোক না কেন যে বিশ্ববাজারে দাম কমলে দেশেও কমানো হবে।


শঙ্কার কারণ কী


আমাদের গ্যাসসংকট অনেক আগে থেকে চলে এসেছে। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করে, তখন দেশে গ্যাস সরবরাহ ছিল দৈনিক ১ হাজার ৭৫০ মিলিয়ন বা ১৭৫ কোটি ঘনফুট, যা ওই সময়ের চাহিদার তুলনায়ও কম ছিল। এরপর দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম বৃদ্ধির কারণে গ্যাসের চাহিদা বাড়তে থাকলে সরকার দেশে গ্যাস উত্তোলন বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়। ফলে ২০১৩-১৪ সাল নাগাদ গ্যাস উত্তোলন দৈনিক ১০০ কোটি ঘনফুট বৃদ্ধি পায়। ফলে তখন দৈনিক গ্যাস সরবরাহ বেড়ে হয় ২৭৫ কোটি ঘনফুট। কিন্তু তত দিনে গ্যাসের চাহিদা হয় দৈনিক ৩০০ কোটি ঘনফুট। ঘাটতি তখন সহনীয় ছিল।


তবে এরপর আর দেশের ক্ষেত্রগুলো থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে গ্যাস উত্তোলন বাড়ানোর উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়নি। তবে বাপেক্স ওয়ার্কওভার (বিদ্যমান কূপ সংস্কার) করে এবং কয়েকটি নতুন কূপ খনন করে মাঝেমধ্যে ৫০ লাখ থেকে দুই-আড়াই কোটি ঘনফুট পর্যন্ত উৎপাদন বাড়িয়েছে। কিন্তু তা ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে যথেষ্ট ছিল না। পাশাপাশি দেশের ক্ষেত্রগুলোতে গ্যাসের চাপ কমে আসা এবং আরও কিছু কারিগরি কারণে প্রতিবছর উৎপাদন কমতে কমতে এখন তা দৈনিক ২১৫ কোটি ঘনফুটে দাঁড়িয়েছে।


গ্যাসের ঘাটতি পূরণ এবং সংকট মোকাবিলায় সরকার ২০১০ সাল থেকেই তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির উদ্যোগ নেয়। কারণ সরকারের নীতিনির্ধারক মহলে কী কারণে যেন এই ধারণা বদ্ধমূল ছিল (এখনো যে নেই তা নয়) যে দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের আর কোনো বড় মজুত নেই। অথচ দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ ও পেশাজীবীরা এখনো বলছেন, দেশে এখন পর্যন্ত যে পরিমাণ গ্যাস আবিষ্কৃত হয়েছে তার চেয়ে বেশি অনাবিষ্কৃত রয়েছে। কিন্তু সরকার সেসব কথা বিশেষ একটা আমলে নেয়নি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us