কেউ পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হত্যার শিকার হয়েছেন, আবার কাউকে খুন করা হয়েছে পরিকল্পিতভাবে। দেশে গত ১৫ বছরে ৩০ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। এসব খুনের ঘটনায় এখনো ন্যায়বিচার পায়নি ভুক্তভোগী পরিবার। আসামিদের অনেকে এখন জামিনে মুক্ত। তাঁদের দাপটে কোনো কোনো ভুক্তভোগী পরিবার অসহায় বোধ করছে বলেও জানা গেছে।
মামলার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সাংবাদিক হত্যার অন্তত চারটি ঘটনায় আসামিরা ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রে প্রভাবশালী আসামিরা নানাভাবে মামলার তদন্তে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সাক্ষীদের ভয় দেখিয়ে সাক্ষ্য দেওয়া থেকে বিরত রাখেন। বিচার বিলম্বিত হয়। আবার তদন্তের দুর্বলতার কারণে আসামিরা খালাস পেয়ে যাওয়ার উদাহরণও আছে।এমন পরিস্থিতিতে সাংবাদিক হত্যার বিচার পেতে স্বজনদের অপেক্ষা যেন আর শেষ হয় না। ‘সন্তানের খুনিদের বিচার দেখে মরতে চান’—এমন আকুতির কথা জানিয়েছেন ঢাকা জেলার ধামরাইয়ের সাংবাদিক জুলহাস উদ্দিনের ৮০ বছর বয়সী মা নূরজাহান বেগম। জুলহাস উদ্দিন ছিলেন বিজয় টেলিভিশনের ধামরাই উপজেলা প্রতিনিধি। ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ধামরাইয়ের বারবারিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাঁকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে, এই খুনে তিনজন জড়িত। তাঁদের মধ্যে একজন মোয়াজ্জেম হোসেন, তিনি মানিকগঞ্জ সদর থানা যুবলীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তিনি এখন জামিনে মুক্ত।
এমন পরিস্থিতিতে সাংবাদিক হত্যার বিচার পেতে স্বজনদের অপেক্ষা যেন আর শেষ হয় না। ‘সন্তানের খুনিদের বিচার দেখে মরতে চান’—এমন আকুতির কথা জানিয়েছেন ঢাকা জেলার ধামরাইয়ের সাংবাদিক জুলহাস উদ্দিনের ৮০ বছর বয়সী মা নূরজাহান বেগম। জুলহাস উদ্দিন ছিলেন বিজয় টেলিভিশনের ধামরাই উপজেলা প্রতিনিধি। ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ধামরাইয়ের বারবারিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাঁকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে, এই খুনে তিনজন জড়িত। তাঁদের মধ্যে একজন মোয়াজ্জেম হোসেন, তিনি মানিকগঞ্জ সদর থানা যুবলীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তিনি এখন জামিনে মুক্ত।