রাজধানীর একটি বিপণিবিতানে স্যামসাংয়ের শোরুমে তাদের এ-৫৪ মডেলের মুঠোফোনের দাম লেখা ৫৯ হাজার ৯৯৯ টাকা। একই ব্র্যান্ডের ওই মডেলের ফোনের খোঁজ করা হয় একই বিপণিবিতানের আরেক দোকানে, যারা নানা ব্র্যান্ডের ‘আন-অফিশিয়াল’ ফোন বিক্রি করে। সেখানে দাম চাওয়া হলো ৩৮ হাজার টাকা।
দামের পার্থক্যের কারণ হিসেবে দোকানিরা বলছেন, তাঁরা মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা শুল্ক দেন না। তাই ফোনের দাম কম। ফলে তাঁদের বিক্রি কমেনি।
বিপরীতে দেশে মুঠোফোন উৎপাদনকারীরা বলছেন, তাঁদের মুঠোফোনের উৎপাদন ও বাজার কমেছে। মোট বাজারের ৪০ শতাংশই অবৈধ মুঠোফোনের দখলে গেছে। দাম কম হওয়ায় ক্রেতা ‘আন-অফিশিয়াল’ ফোনের দিকে ঝুঁকছেন। আন-অফিশিয়াল ফোনের একটি বড় অংশ হলো, অবৈধভাবে দেশে আনা মুঠোফোন।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরকার ২০১৭ সালে দেশে মুঠোফোন উৎপাদনের নীতিগত অনুমোদন দেয়। দেশে এখন ১৪টির মতো প্রতিষ্ঠান মুঠোফোন উৎপাদন করছে। স্যামসাং, অপো, বিভো, টেকনো, সিম্ফনি, ওয়ালটন, লাভা, শাওমি, নোকিয়া, রিয়েলমির মুঠোফোন দেশে উৎপাদন করা হয়।