জাতীয় নির্বাচনের আগে ইভিএমে পাঁচ সিটি নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে করতে পারায় ইসিতে স্বস্তির ভাব আনলেও ‘অংশগ্রহণমূলক’ না হওয়া এই নির্বাচনে ভোটের হার নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের অনুষ্ঠিত এই সিটি নির্বাচনকে নিজেদের জন্য পরীক্ষা হিসেবেই নিয়েছিল কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসি, বিশ্লেষকরাও তাকিয়ে ছিল ইসির কাজ দেখতে।
তবে প্রথমেই ধাক্কা খায় সব দলের না আসাটা। জাতীয় নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনরত বিএনপি স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে সাড়াই দেয়নি।
ফলে অনেকটাই নিরুত্তাপ হয়ে পড়ে এই নির্বাচন। তার মধ্যে গাজীপুরের ভোটে স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোটে জিতে চমক দেখালেও বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী ও সিলেটে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর জয় অনুমেয়ই ছিল। সেটাই ভোটার খরার কারণ মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ধারণা অনুযায়ীেই গাজীপুরে ৪৮.৭৬%, বরিশালে ৫১%, খুলনায় ৪৮.১৭ %, সিলেটে ৪৬.৭১ % ও রাজশাহীতে ৫৬.২০ % ভোট পড়ে।
অথচ রাজশাহীতে ২০০৮ সালে ভোটের হার ছিল ৮১.৬১%। ২০১৩ সালে ছিল ৭৬.০৯%, ২০১৮ সালে ছিল ৭৮.৮৬ শতাংশ। সিলেটসহ অন্য সিটি করপোরেশনেও চিত্রটা ছিল তেমনই।