কাপ্তাই হাইড্রোপাওয়ার প্লান্টের পাঁচটি ইউনিটের মোট উৎপাদন সক্ষমতা ২৪২ মেগাওয়াট। ২০২২ সালের শেষার্ধে জ্বালানি সংকটের কারণে ভরা মৌসুমে সব ইউনিট চালু রাখায় চলতি বছরের শুষ্ক মৌসুমে হ্রদের পানি কমে যায় রেকর্ড পরিমাণ। ফলে একটিমাত্র ইউনিট দিয়ে মাত্র ২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পেরেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। তবে এক সপ্তাহের বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে কাপ্তাই হ্রদে বেড়েছে পানির পরিমাণ। তাই সচল করা হয়েছে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আরো একটি ইউনিট। এতে কয়েক দিনের ব্যবধানে কেন্দ্রটির উৎপাদন ১৬৮ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরের হিসাবে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বা প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ ৩ টাকা ৪৬ পয়সা, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রতি ইউনিটের খরচ ৯ টাকা ১৭ ও ফার্নেস অয়েলের উৎপাদন খরচ ২২ টাকা ১০ পয়সা। অথচ কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ মাত্র ৩৫-৪০ পয়সা (সব ইউনিট সচল রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়া সাপেক্ষে)। এত কম মূল্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হলেও হ্রদের পানি সংরক্ষণের ক্ষমতা কমে যাওয়া, চট্টগ্রাম ওয়াসার সুপেয় পানি পরিশোধনে লবণাক্ততাজনিত জটিলতার কারণে চাইলেও অতিরিক্ত উৎপাদনে যেতে পারছে না জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।