মৌলবাদী জঙ্গিরা কেবল বেকার নয়, মাদ্রাসা-শিক্ষিতও বটে। বেকারত্ব এবং মাদ্রাসাশিক্ষার ভেতর খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। গরিবের ছেলেমেয়েরা মাদ্রাসায় যায়, গিয়ে বেকার হয় এবং তাদেরই একাংশ হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় জঙ্গি তৎপরতায় যোগ দেয়। এই মাদ্রাসাশিক্ষায় বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ চলছে এবং এর বড় ভাগ আসছে আমাদের বিদেশি শত্রুদের কাছ থেকে। এই বিনিয়োগে স্থানীয়রাও অংশ নেয়; কেউ নেয় না-বুঝে, অধিকাংশই নেয় পুণ্য ও সুনামের আকাঙ্ক্ষায়। সরকারগুলোও দেখা যায় মাদ্রাসা শিক্ষায় যত উৎসাহ বোধ করে, মাধ্যমিক শিক্ষার বেলায় ততটা নয়। তাতে পরিষ্কার প্রমাণ পাওয়া যায় যে এরা আর যা-ই হোক দেশপ্রেমিক নয়। শিক্ষা দেওয়ার নাম করে এরা অনুগত ও পঙ্গু মানুষ উৎপাদনে আগ্রহী।
বর্তমান সরকার অবশ্য আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে, তথাকথিত ‘একমুখী’ শিক্ষা প্রবর্তনের নাম করে তারা মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থাকে মাদ্রাসার স্তরে ঠেলে নামিয়ে মাধ্যমিক ও মাদ্রাসাশিক্ষার একটি ‘সমন্বয়’ ঘটানোর পদক্ষেপ নিয়ে ফেলেছে। এ ক্ষেত্রেও মস্ত বড় বিনিয়োগ তারা ঘটিয়েছে।