দীর্ঘ অপেক্ষার পর প্রকৃত রূপে ফিরতে শুরু করেছে কাউয়াদীঘি হাওর

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২১ জুন ২০২৩, ০৭:৩৬

এই আষাঢ়ে কাউয়াদীঘি হাওরজুড়ে ভাসান জল থই থই করার কথা। হাওরপাড়ের মাঠ, গ্রামীণ পথঘাট জলের নিচে ডুবে থাকার কথা। জেলেদের ছোট-বড় ডিঙিগুলো ছেঁড়াফাটা, রংবেরঙের পাল উড়িয়ে ভাসার কথা। অথচ এই বর্ষায়ও হাওরের প্রায় অর্ধেক শুকনো। দীর্ঘ খরায় বর্ষা মৌসুমের চেনা রূপ পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে হাওরটিকে। বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ধীরে ধীরে প্রকৃত জলের চেহারায় ফিরছে কাউয়াদীঘি হাওর।


গত সোমবার বিকেলে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কাউয়াদীঘি হাওরপারের রসুলপুর, বিরইমাবাদ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, হাওরপারের বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাওরের পানি এখনো দুই-তিন কিলোমিটার দূরে। তবে এই কয়েক দিনের বৃষ্টিতে পানি কিছুটা বাড়তে থাকায় হাওর একটু একটু করে তার প্রকৃত জলের চেহারা ফিরে পেতে শুরু করেছে। দু-একটি ছোট নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে হাওরে নেমেছেন মৎস্যজীবীরা। কেউ জালের ফাঁদ পাতছেন। কেউ ফাঁদ তুলে মাছ ধরছেন। কিন্তু মাছের তেমন একটা দেখা মিলছে না। ফলে এবার জেলেদের মধ্যে মাছ ধরার আমেজও অনুপস্থিত।


হাওরপারের খোজারগাঁওয়ের মৎস্যজীবী রেজান আলীর জন্ম, বেড়ে ওঠা, জীবিকার সংগ্রাম—সবকিছুই হাওরকেন্দ্রিক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সারা হাওর এত দিন হুকনাই (শুকনো) আছিল। অউ (এই) দুই-তিন দিনের বৃষ্টিতে হাওরে পানি অইছে। অন্য বছর বৈশাখ মাসেই পানি আইতো। পানি নাই, হাওরর মাছ আছেনি! আগর (আগের) মাছ নাই। আগে নয়া (নতুন) পানি অইছে। টেংরা, বাইম, গুলা (গুলশা), পাবিয়া (পাবদা) অভাব অইছে না। গুড়া (ছোট) মাছ আমরা আনছিই না। তুরা (অল্প) পানি অওয়ায় কিছু মাছ মিলের।’ রেজান আলী বলেন, হাওরে এত বেশি সময় ধরে পানি নেই, এমনটা তিনি আর কখনো দেখেননি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us