উড়োজাহাজের সিট-টয়লেট, বিমানবন্দরের ডাস্টবিন, যাত্রীর পকেট-শরীর, সীমান্তের ধানক্ষেত, বাজারের ব্যাগ কিংবা মোটরসাইকেল- এমন কোনো জায়গা নেই যেখান থেকে স্বর্ণের চোরাচালান আটক করে না বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিছুদিন পরপর বিমানবন্দর বা সীমান্তে ধরা পড়ছে ঝকঝকে সোনার চালান। অবস্থা এমন, অনেকে এখন শাহজালাল বিমানবন্দরকে ‘সোনার খনি’ ডাকা শুরু করেছেন! কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না সোনা চোরাচালান।
সোনা চোরাচালান প্রতিরোধে কাজ করে এমন বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ সোনা চোরাচালানের একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে এ দেশের সোনার দামের তারতম্য রয়েছে। চোরাচালানের মাধ্যমে সোনা আনলে অনেক বেশি লাভ করা যায়। তাই দিন দিন চোরাচালান বাড়ছে। নীতিগত জায়গায় পরিবর্তন না আনলে এটি নিয়ন্ত্রণে আনা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। পাশাপাশি সোনা উদ্ধারের ঘটনায় আসামিদের বিচারহীনতার সংস্কৃতিও এক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করছে।
বিমানবন্দরে সোনা চোরাচালান প্রতিরোধে কাজ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, গত ১০ বছরে (২০১৩ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত) সারা দেশে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৫৮৩ কেজি সোনা জব্দ করা হয়েছে। এসব অভিযানে অংশ নেয় শুল্ক গোয়েন্দা, কাস্টম হাউস, বিজিবি ও এয়ারপোর্ট এপিবিএন। তবে সবার সমন্বিত প্রচেষ্টার পরও বন্ধ হচ্ছে না চোরাচালান।
দেশে সোনা আসে যেভাবে
বাংলাদেশে স্বর্ণ আসার প্রক্রিয়া জানতে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও বাংলাদেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ী, ব্রোকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী একাধিক বাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছে ঢাকা পোস্ট।