চ্যাটজিপিটি হালের ফেনোমেনন। আমরা প্রায় সবাই এর সঙ্গে কথা বলে সময় কাটাই। খানিক মজার ছলে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যন্ত্র গাণিতিক বিশ্লেষণে আমাদের পছন্দমতো উত্তর দিয়ে মুগ্ধ করে। অজস্র তথ্য নিত্য যাচাই করে উত্তর তৈরিতে ক্রমেই পারঙ্গম হয়ে উঠছে এটি। কিন্তু চ্যাটজিপিটি সময় কাটানোর আনন্দদায়ক মাধ্যমের পাশাপাশি হয়ে উঠছে বিপদের। সাইবার স্পেসের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার খবরও বিশ্বের নানা সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। নকল চ্যাটজিপিটি অ্যাপস প্রযুক্তি-ভাবুকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিচ্ছে। এসব অ্যাপস প্রায়ই অদরকারি তথ্য আর অনুমতি চেয়ে বসে। ইনস্টল করার পর সেলফোন বা ল্যাপটপে ছড়িয়ে দেয় ম্যালওয়্যার। চেয়ে নেয় অকারণ সাবস্ক্রিপশন।
পুরো পৃথিবী এখন চ্যাটজিপিটি-জ্বরে ভুগছে। কিছু মানুষ অ্যাপ স্টোরে অফিশিয়াল চ্যাটজিপিটি খুঁজে পেতে ভুল করছেন। ভুলভাল অ্যাপ নামিয়ে পড়ছেন বিপদে। এসব অ্যাপ থেকে সাবধান না হলে ব্যক্তিগত তথ্য হুমকির মুখে পড়বে। খানিকটা সচেতন হলেই আমরা বিপত্তি এড়াতে পারি। সচেতন হতেই জানতে হবে কিছু পদ্ধতি।
অ্যাপ পারমিশন ভ্যারিফাই করা
চ্যাটবট কার্যপদ্ধতির অতিরিক্ত সন্দেহজনক তথ্য চেয়ে বসলে অনুমতি দেওয়া যাবে না মোটেই; বরং সতর্কভাবে যাচাই করে দেখতে হবে প্রাতিষ্ঠানিক অনুমোদনের তথ্যাবলি। নিজেকেই নাহয় জিজ্ঞেস করে দেখুন, চ্যাটবটের পক্ষে আপনার ফোনের নম্বর বা স্পর্শকাতর তথ্য চাওয়ার যৌক্তিক কারণ আছে কি না।
দেখে নিতে হবে অ্যাপ ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান
অ্যাপ ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানকে ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে হবে। মনে রাখতে হবে, চ্যাটজিপিটির এক্সক্লুসিভ ডেভেলপার হলো ওপেন এআই। গুগল প্লেস্টোরে পাওয়া অন্যান্য চ্যাটবট নানা রকম ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান থেকে নির্মিত। এসব দেখতে প্রায় একই রকম। চ্যাটজিপিটি দাবি করা অ্যাপকে বিশ্বাস করার আগে অ্যাপ স্টোরে তার পুরো প্রোফাইল পড়ে দেখে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। তাহলে বোঝা যাবে ওপেন এআইয়ের সঙ্গে এটির সংশ্লিষ্টতা আছে কি না। যদি একটি অ্যাপ চ্যাটজিপিটি বলে দাবি করে নিজেকে কিন্তু ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান ওপেন এআই না হয়, সেটি ডাউনলোড করলেই বিপদে পড়তে হবে।