চারপাশে নীল জলরাশি। বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে উঁচু দেয়ালে। খালি চোখে দেখলেই বোঝা যায় কতটা শক্তিশালী সে দেয়াল। প্রাচীনকালে শত্রুর আক্রমণ থেকে বাঁচতে এ ধরনের পুরু দেয়াল দিয়ে দুর্গ নির্মাণ করা হতো। দেয়ালের ভেতর দিকে প্রথমে ছোট ছোট ঘর। এরপর মাঝখানে সুউচ্চ মঠ। হাজার বছর আগে নির্মিত মন্ট সেন্ট-মিশেল নামের আশ্রমটি সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে আটলান্টিক মহাসাগরের বুকে। এটি ফ্রান্সের স্থায়িত্বেরও প্রতীক।
নরম্যান্ডি উপকূলের ছোট্ট এ দ্বীপের মূল আকর্ষণ পাহাড়ের ওপরের আশ্রমটি। নামে মঠ হলেও চেহারা আর নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিক থেকে এটি দুর্গের মতো। এটি শত শত বছর ধরে ফরাসি ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে আছে। পাহাড়ের ওপরের দিকের দালানগুলোর বেশিরভাগই ১৩ শতকে গথিক নির্মাণশৈলীতে বানানো। নিচের দিকে ছোট ছোট বাড়িঘর আর দোকানপাট। আশ্রমের সন্ন্যাসীসহ সব মিলিয়ে সেখানে ৫০ জনেরও কম মানুষের বাস।