প্রযুক্তির উন্নতি ও অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে অপরাধের ধরন পাল্টে যাচ্ছে। অতীতের তুলনায় সমাজে বাড়ছে অপরাধ। এর মধ্যে অজ্ঞান ও মলম পার্টির তৎপরতা শহর-নগর সবখানেই ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। দিন যত যাচ্ছে, সাধারণ মানুষ তাদের কাছে অসহায় হয়ে পড়ছে। এমনকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও অজ্ঞান পার্টির হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। প্রায় প্রতিদিন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় মলম পার্টির খপ্পরে পড়ে টাকা-পয়সাসহ মূল্যবান কাগজপত্র হারাচ্ছে মানুষ। তাদের খাওয়ানো নেশাদ্রব্যের বিষক্রিয়ায় কেউ কেউ প্রাণও হারাচ্ছে। অনেকেই দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেওয়ার পরও পুরোপুরি সুস্থ হতে পারছে না। শুধু যে নেশা জাতীয় দ্রব্য দিয়ে অজ্ঞান করে, তা নয়। এসব চক্র নানা কৌশলে যানবাহনের ভেতরে চোখ-মুখে বিষাক্ত মলম লাগিয়ে দেয়। এতে অনেকেই স্থায়ীভাবে অন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি ও ছিনতাইকারীদের জ্বালায় নগরবাসী রাস্তাঘাটে চলাচল করতে গিয়ে সব সময় আতঙ্কে থাকে। তাদের খপ্পরে পড়ে প্রতিনিয়ত অনেকের উৎসব-আনন্দের সময়টা পরিণত হচ্ছে বিষাদে। স্বস্তিতে বাসায় পৌঁছার পরিবর্তে অচেতন হয়ে সঙ্গে থাকা সবকিছু হারিয়ে গন্তব্য হয় হাসপাতালে। তথ্যমতে, গত তিন বছরে অজ্ঞান ও মলম পার্টির খপ্পড়ে পড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ চিকিৎসা নিয়েছে। যাত্রীবাহী বাস, ট্রেন, লঞ্চ, ফেরিঘাট, বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন– কোথাও মানুষ নিরাপদ নয়। তবে সচেতন ও সতর্কতা অবলম্বন করলে এদের হাত থেকে অনেকটা নিরাপদ থাকা সম্ভব।