গতবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। তাদের বেশিরভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। দেখা গেছে, সর্বোচ্চ পাসের হার ১১ দশমিক ৮৪ শতাংশ। সর্বনিম্ন ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ পাস করেছেন একটি ইউনিটে। অথচ তাদের এইচএসসির সিলেবাসের ভিত্তিতেই ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন করা হয়েছিল।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, আমাদের পড়ালেখার মান পরিমাপের তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। এ বিষয়ে গবেষণাও হয় না তেমন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বড় কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার সময় শিক্ষার মানের বিষয়টি বোঝা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষায় নির্দিষ্টসংখ্যক শিক্ষার্থীকেই যোগ্য মনে করা হয়, বেশি শিক্ষার্থীর পাসের সুযোগ থাকে না। আমাদের পাবলিক পরীক্ষার মূল্যায়ন-প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন আছে। শিক্ষার্থীরা একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতির মধ্য দিয়ে পড়ালেখা করে জিপিএ-৫ পেয়ে যাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় ধরা পড়ছে তাদের পড়াশোনার মান ‘কাক্সিক্ষত’ মানের নয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে এটা মাধ্যমিকে পুরোপুরি কার্যকর হবে। আর ২০২৭ সালের মধ্যে উচ্চমাধ্যমিকে এর বাস্তবায়ন শেষ হবে। নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী পড়ে যেসব শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষায় আসবে, তাদের ক্ষেত্রে হয়তো অবস্থার পরিবর্তন হবে। আমাদের শিক্ষার মানে আমূল পরিবর্তন আসবে।