কয়েক দশক ধরে একটি রেওয়াজ চালু আছে। যখনই মার্কিন নীতিনির্ধারক স্তরের কোনো নেতা ভারত সফরে আসেন, তখনই তাঁরা ভারতের রাজনীতি, দেশটির বাসিন্দাদের বৈচিত্র্য ও মূল্যবোধ নিয়ে প্রশংসাসূচক কথা বলেন। এযাবৎ যত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভারত সফরে এসেছেন, তাঁদের প্রায় সবাই ‘বিশ্বের প্রাচীনতম গণতন্ত্র’ এবং ‘বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্র’ এর মধ্যে মূল্যবোধগত ঐক্যের কথা বলেছেন।
এই কথাগুলোকে স্রেফ কথার কথা মনে হতে পারে। কিন্তু ওয়াশিংটনের কাছে আসলেই এ কথাগুলো ফাঁপা বাগাড়ম্বর ছিল না। মার্কিন নীতিনির্ধারকেরা মনে করেন, দুই দেশের মধ্যে অভিন্ন গণতান্ত্রিক আদর্শ ও মূল্যবোধই টেকসই সম্পর্কের সত্যিকার ভিত্তি হতে পারে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে তৎকালীন ভারতীয় নেতা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীকে লেখা একটি চিঠিতে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট বলেছিলেন, ‘গণতন্ত্র ও ন্যায়পরায়ণতার প্রতি আমাদের অভিন্ন আগ্রহ আপনার দেশবাসী ও আমার দেশবাসীকে অভিন্ন শত্রুর বিরুদ্ধে অভিন্ন অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম করবে।’