এবার ঈদযাত্রায় প্রতিদিন ৯০ লঞ্চে ৩ লাখ ২৭ হাজার ৮৫৭ যাত্রী বহন করা হবে। একটি লঞ্চে গড়ে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ৬৪২ জন যাত্রী উঠবেন। কিন্তু কোনো লঞ্চেই দুই হাজারের বেশি যাত্রী ধারণক্ষমতা নেই। অনেক লঞ্চের ধারণক্ষমতা এক হাজারেরও নিচে। এছাড়া ঈদের আগের তিনদিন ঘরমুখী জনস্রোত দেড়গুণ বেড়ে যায়। নৌযান স্বল্পতায় অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কারণে আসন্ন ঈদযাত্রায় বিশৃঙ্খলা ও জনদুর্ভোগের পাশাপাশি অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
বেসরকারি সংগঠন নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির ঈদপূর্ব পর্যবেক্ষণ ও জরিপ প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কা ব্যক্ত হয়েছে। রোববার জাতীয় কমিটির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নৌপথে বৃহত্তর বরিশালমুখী যাত্রীসংখ্যা কমলেও ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোর প্রায় ৩০ লাখ মানুষ নৌপথে গন্তব্যে যাবেন। ঈদযাত্রীদের মধ্যে তিন লাখ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর হয়ে যাবেন। বাকি ২৭ লাখ যাবেন সদরঘাট টার্মিনালসহ ঢাকা নদীবন্দরের বিভিন্ন ঘাট হয়ে। তাই এবারও সদরঘাটের ওপর অস্বাভাবিক চাপ পড়বে।