ঠিক বুঝতে পারছি না লেখাটা কীভাবে শুরু করবো বা আদৌ বিষয়টা নিয়ে লিখবো কিনা বা লেখা উচিৎ হবে কিনা? এরকম একটি দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে অনেকটা সময় পার করার পর মনে হলো, বর্বর এইসব ঘটনা সত্য, সমাজে ঘটছে, ঘটার সংখ্যা বাড়ছে এবং মিডিয়াতে আসছে। মানসিকভাবে বিকৃত কিছু মানুষ এমন জঘন্য আচরণ ও কাজ করছে, যাতে করে, পরিবারের ও সমাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রিয় প্রতিষ্ঠানের চরিত্র নিয়ে কথা উঠেছে। হ্যাঁ, আমি সেইসব নোংরা অমানুষের কথা বলছি, যারা নিকট আত্মীয় সেজে পরিবারে আছে, কিন্তু এরা আসলে ধর্ষক বা যৌন নিপীড়ক। এই অমানুষগুলো কারো স্বজন নয়, এরা অপরাধী।
যে মেয়েরা ও ছেলেরা প্রিয়জন বা পরিচিতজন কারো দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়, এরা ভয়ে বা লজ্জায় চুপ করে থাকে এবং এইভাবে দিনের পর দিন ভয়াবহ অত্যাচার সহ্য করে। কাকে বলবে, কীভাবে বলবে, কেউ বিশ্বাস করবে কিনা এইসব ভেবে চুপ করে থাকে। কিন্তু সহ্য করতে করতে এমন একটা সময় আসে, যখন সে চরম বিপদের মুখে পড়ে যায়। সেই দায় তখন তাকে ও পরিবারকে বহন করতে হয়। অথচ শিশু-কিশোর-কিশোরীরা যদি ভয় না পেয়ে প্রথমদিকেই মুখ খোলে, তাহলে হয়তো অবস্থা এতটা বিপর্যয়কর হয় না। অপরাধী অনেক আগেই চিহ্নিত হতে পারে।