ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৬টি ট্রাস্ট ফান্ড হইতে বৃত্তি প্রদান বন্ধ রহিয়াছে। এই ব্যাপারে মাথা যাঁহারা, তাঁহাদের ব্যথা নাই। কারণ, কর্তৃপক্ষের তো আর বৃত্তির টাকার প্রয়োজন নাই। প্রয়োজন যাহাদের সেই শিক্ষার্থীরা হয়তো জানেই না, তাহাদের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকার বৃত্তি তহবিল ব্যাংকে অলস পড়িয়া রহিয়াছে। বিষয়টি আর ঝুলাইয়া রাখিয়া যায় না।
সেই ব্রিটিশ আমল হইতে বিত্তবানরা অথবা তাঁহাদের ওয়ারিশরা স্বনামে অথবা প্রিয়জনের নামে বৃত্তি দিবার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তহবিল জোগাইতেন। এককালীন অর্থ ট্রাস্ট ফান্ডের নামে রাখা থাকিত, তাহার আসল অথবা সুদ হইতে বৃত্তি দেওয়া হইত। যেমন– ১৯২৩ সালের একটি তহবিলে বৃত্তির জন্য ৫০ টাকা জমা পড়িয়াছিল। সেইকালে এইটা লক্ষণীয় পরিমাণ অর্থ হইলেও এইকালে ইহার মূল্য থাকিলেও গুরুত্ব নাই। এই ধরনের বৃত্তি তহবিল লইয়া মুশকিল হইলে প্রতিকার তো করিতেই হইবে।