শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক শাস্তি বন্ধ করিবার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ২০১০ সালের ৯ আগস্ট একটি পরিপত্র জারি করিয়াছিল। তাহাতে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শারীরিক শাস্তি দেওয়া সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হইয়াছিল। কিন্তু সরকারের ঘোষিত আদেশ যে যথাযথ পালিত হইতেছে না, তাহা শুক্রবার সমকালের একটি প্রতিবেদনে দৃষ্টি নিবদ্ধ করিলেই স্পষ্ট হইবে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বগেরগাছি নওদাপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে সংঘটিত হাতাহাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করিয়া প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক উহাদেরকে নাকে খত দিতে বাধ্য করেন। ফলস্বরূপ একজন শিক্ষার্থী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এবং সে আর বিদ্যালয়ে যাইতে আগ্রহ পোষণ করিতেছে না। শুধু উহাই নহে, বিদ্যালয়ে যাইতে তাহার উপর পীড়াপীড়ি চলিলে উক্ত শিক্ষার্থী আত্মহত্যার হুমকি পর্যন্ত দিয়াছে বলিয়া প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হইয়াছে।