ফেসবুকে পরিচয়। ছেলেটি নিজেকে সৌদিপ্রবাসী বলে পরিচয় দেন। কথোপকথন গড়ায় ইমোতে। কথা বলতে বলতে প্রেম, তারপর ফোনেই বিয়ে। তবে বিয়ের খবর ছেলের পরিবারকে জানাতে মানা। তিন মাস পর কথিত সেই প্রবাসী জানান, সৌদি আরবে রোজগার কমে গেছে, যেতে হবে ইউরোপ। এ জন্য ১২ লাখ টাকা লাগবে। কিন্তু তাঁর কাছে আছে পাঁচ লাখ টাকা। এ কথা শুনে মেয়ের পরিবার বাকি সাত লাখের জোগান দেয়। এর কিছুদিন পরই বন্ধ হয়ে যায় ছেলেটির ফোন। আর খোঁজ মেলে না তাঁর।
রাজধানীর পুরান ঢাকায় গত জানুয়ারির ঘটনা এটি। ছেলেটির খোঁজ না পেয়ে মেয়ের পরিবার সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে।
দেশে এমন প্রতারণার ঘটনা কম নয়। র্যাব, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার ক্রাইম ইউনিট, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার সেন্টার, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনসহ (পিবিআই) পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে প্রতিদিনই এমন অভিযোগ আসছে। ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল অপরাধ বিভাগের হিসাব বলছে, ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আড়াই বছরে এই বিভাগের ৪০৬টি মামলার মধ্যে ৯৮টিই, অর্থাৎ ২৪ দশমিক ১৪ শতাংশই প্রতারণার মামলা।
ডিএমপির সাইবার বিভাগের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১ সালে ঢাকায় যত সাইবার অপরাধের ঘটনা ঘটেছে, এর ৪২ দশমিক ২২ শতাংশই ছিল প্রতারণার। এর মধ্যে মোবাইল ব্যাংকিং-সংক্রান্ত প্রতারণা ২৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ, অনলাইনের অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করে প্রতারণা ১৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। ২০২২ সালে প্রতারণার ঘটনা ছিল মোট সাইবার অপরাধের ৪১ দশমিক ৫১ শতাংশ। আর ২০২৩ সালের মে মাস পর্যন্ত মোট সাইবার অপরাধের অর্ধেকই প্রতারণার।