মহা আনন্দ, প্রথম স্কুলে যাওয়ার। কিন্তু স্কুলে গিয়েই সব আনন্দ মাটি।
প্রথম শ্রেণির কক্ষের একটা আলাদা বেঞ্চে সঞ্জীবনী সুধাকে বসিয়ে দেওয়া হয়। কড়া করে বলে দেওয়া হয়, ছেলে বা মেয়ে কারও সঙ্গেই বসা চলবে না।
সঞ্জীবনীর ছোট মনে বড় আঘাতটা সেদিনই লাগে। সেদিনের কথা সঞ্জীবনীর মন থেকে কখনো মুছে যায়নি। সেই দুঃখ-গ্লানি সঞ্জীবনীকে আরও অনড়, আর জেদি করে তোলে। এই জেদই তাঁকে নিয়ে এসেছে বহু দূর।
হরদম তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য, লাঞ্ছনা-গঞ্জনা, অপমান-ভ্রুকুটি, হাজারো প্রতিবন্ধকতা—কোনো কিছুকে তোয়াক্কা করেননি সঞ্জীবনী। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ সাফল্যের সঙ্গে শেষ করেন তিনি। পরে প্রবেশ করেন চাকরিজীবনে।
সম্প্রতি সঞ্জীবনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিলে ভর্তির আবেদন করেন। এমফিলে ভর্তির সব শর্ত তিনি পূরণ করেছেন। এখন তাঁর এমফিলে ভর্তির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। সঞ্জীবনী প্রথম ট্রান্সজেন্ডার নারী, যিনি দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে এমফিল করতে যাচ্ছেন।