আমাদের দেশে কর্মক্ষেত্রে নারীদের অবদানকে ছোট করে দেখা হয়। তাই প্রায় সব সময়ই তারা মজুরি বৈষম্যের শিকার হন। বেসরকারি সংস্থা অক্সফামের একটি প্রতিবেদন অনুসারে গত ১ দশকে শ্রম বাজারে নারী শ্রমিকের সংখ্যা ২ কোটির ওপরে বেড়েছে। যার ৭৭ শতাংশই গ্রামীণ নারী শ্রমিক।
আর এদের অধিকাংশই মজুরি বৈষম্যের শিকার। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ও স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভলপমেন্টের যৌথ এক গবেষণাপত্র ‘নারীদের জন্য অর্থনৈতিক ন্যায্যতা’ থেকে জানা যায়, ৬১ শতাংশ নারী শ্রমিক দৈনিক ১০০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি পেয়ে থাকেন। রাজধানীতে গৃহকর্মীর কাজের জন্য যেখানে একজন নারী শ্রমিককে পারিশ্রমিক হিসেবে ৩৫০০-৪০০০ টাকা দেওয়া হয়; সেখানে একজন পুরুষ কেয়ারটেকারকে দেওয়া হয় ৬০০০-৭০০০ টাকা। মোটের ওপর দেখা যায় মজুরি বৈষম্যের জন্য একজন নারী শ্রমিক বছরে প্রায় ৩৬ হাজার টাকা কম আয় করেন। এর ফলে তারা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন, যা নারীর ক্ষমতায়নের পথে একটি বড় বাধা।
সাত মাস আগের ঘটনা। মৌলভীবাজারে চা শ্রমিকদের দাবি ছিল মুজরি দৈনিক ৩০০ টাকা করার জন্য। ভাবতে হবে, দৈনিক ১২০ টাকা মজুরিতে কি একজন মানুষের সংসার চলে? জেলা প্রশাসন নির্ধারণ করলো ১৪৫ টাকা। সেটাও মানলো না শ্রমিকেরা। যদিও পরে আন্দোলনটি সমঝোতার মাধ্যমে থেমে যায়।