কয়েকদিন আগের কথা। ঢাকার একটি রেলস্টেশনে পান-সিগারেট বিক্রি করছেন এক মেয়ে। পরনে রং ওঠা সালোয়ার-কামিজ। তাঁকে ঘিরে ধরেছে উৎসুক জনতা। দূর থেকে কাছে আসতেই দেখা গেল জান্নাতুল ফেরদৌস হিমিকে। জুবায়ের ইবনে বকরের পরিচালনায় ঈদের একটি নাটকে কাজ করছিলেন তিনি। হিমিকে সবসময় দেখা যায় গ্ল্যামারাস চরিত্রে।
ইদানীং বৃত্তের বাইরে বেরিয়ে নানা চরিত্রে অভিনয় করতে তাঁকে দেখা যাচ্ছে। ঈদের ওই নাটকে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক মানুষের মধ্যে রেলস্টেশনে কাজ করা মুশকিল। খুব গরমও পড়েছিল। চরিত্রটি নিয়ে প্রথমে টেনশনে ছিলাম। যখন চরিত্রটিতে ঢুকে পড়েছি তখন আর সমস্যা হয়নি। এতে অনেক বাঁক ছিল। গরিব মেয়েটির বাবা নেশা করে। সংসার চালাতে পারে না। মেয়েটিকে বিক্রি করে দিতে চায়। এ রকম অবস্থায় নিজেই পরিবারের দায়িত্ব নেয়। আমি সেরাটি দিয়েছি। আশা করছি, নাটকটি দর্শকের ভালো লাগবে।’
নিজেকে নানারূপে তুলে ধরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অভিনয় ক্যারিয়ারে এক দশকের বেশি সময় পার করেছি। প্রথম কয়েক বছর আমি চেয়েছি গ্ল্যামার চরিত্রে দর্শক আমাকে দেখুক। পরে ভাবনার বদল হয়েছে। এরপর প্রচুর কমেডি নাটকে অভিনয় করেছি। আমার অভিনীত কিছু নাটক ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে শীর্ষে ছিল। দর্শকের এ ভালোবাসায় আমাকে ভালো কাজে করতে উৎসাহ জোগাচ্ছে। এখন অভিনয়ের সুযোগ আছে এমন গল্পপ্রধান নাটকে অভিনয় করছি।’