অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হলো শিল্প খাত। এক্ষেত্রে তৈরি পোশাক শিল্পের অবদান সবচেয়ে বেশি। এ খাত শুধু দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডারকেই সমৃদ্ধ করেনি, একই সঙ্গে নিশ্চিত করেছে অগণিত মানুষের কর্মসংস্থান। পোশাক শিল্পের হাত ধরেই দেশের অর্থনীতিতে এসেছে ঈর্ষণীয় সাফল্য। বৈশ্বিক অর্থনীতির দুর্বিপাকে অন্যান্য শিল্প বিপাকে পড়লেও সবার আগে ঘুরে দাঁড়ায় পোশাক খাত। দেশে রপ্তানি খাতে ৮৫ শতাংশ অবদান রাখছে তৈরি পোশাক। রপ্তানি খাতে সুপারস্টার তৈরি পোশাক। আমাদের রপ্তানি বাজারে বৈচিত্র্য আসছে। নতুন পণ্যের ক্ষেত্রেও যেমন ম্যান মেড ফাইবার ও হাই ভ্যালু প্রডাক্ট পোশাক খাতে বৈচিত্র্য নিয়ে আসছে। দেশের অর্থনীতির স্বার্থে এ ধারা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশে মোট রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৩২ হাজার ৭০৯ কোটি টাকার কিছু বেশি। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের অবদান ছিল ২ লাখ ৮২ হাজার ৬৩৯ কোটি টাকা, যা মোট রপ্তানির প্রায় ৮৫ শতাংশ। পরের অবস্থানেই ছিল পাট ও পাটজাত পণ্য। গত অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে এ ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৮ হাজার ৭৬২ কোটি ২০ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট রপ্তানিতে পাট ও পাটজাত দ্রব্যের অবদান ছিল ২ দশমিক ৬৩ শতাংশ। বর্তমানে বিশ্বে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে চীনের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। সারা পৃথিবীতে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাতি দিয়েছে এ পণ্য।