বিএনপিসহ অধিকাংশ দল না থাকায় সিটি করপোরেশনে নির্বাচনী আঁচ সেভাবে নেই, ভোটারদের আগ্রহের ঘাটতি গাজীপুর, খুলনা, বরিশালের নির্বাচনে অনেকটাই স্পষ্ট। প্রার্থীরাও মানছেন, ভোটারদের কেন্দ্রে আনাটাই এখন তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পাশাপাশি কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের নিয়ে আসার ক্ষেত্রে একটি ভূমিকা রাখছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীরা। চরমোনাই পীরের মুরিদ আর ভক্তদের ‘ভোট ব্যাংকে’ ভর করে খুলনা ও বরিশালে তাদের প্রার্থীই ছিল দ্বিতীয় অবস্থানে।
কিন্তু সোমবার বরিশালে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীর উপর হামলার পর দলটি ফল প্রত্যাখ্যানের পাশাপাশি সিলেট ও রাজশাহী থেকেও তাদের প্রার্থী প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়।
ফলে সিলেট ও রাজশাহীর নির্বাচনী হাওয়া থেকে হাতপাখার বাতাস উধাও হয়ে গেলে ভোটের আমেজ আর কতটুকু থাকবে এবং শেষ পর্যন্ত কত সংখ্যক ভোটার কেন্দ্রে যাবেন, তা প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।
বিষয়টি যে আওয়ামী লীগকে ভাবাচ্ছে, তা স্পষ্ট হয়েছে রাজশাহীতে নৌকার মেয়র প্রার্থী, দুই বারের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের কথায়।
খুলনা-বরিশালের নির্বাচনের দিন ওয়ার্ড কমিটির নেতাদের সঙ্গে এক আলোচনায় তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য ৭০ ভাগ ভোটারকে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া। সেটা আমরা করতে পারলে সব ক্ষেত্রে; যেমন- বিএনপিকে মোকাবেলা করা হল, প্রার্থীকেও জয়যুক্ত করা হল। এরপর আমার প্রধানমন্ত্রীকে গিয়ে বলতে পারব, শত ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে বিপুল সংখ্যক ভোটার কেন্দ্রে গিয়ে নৌকায় ভোট দিয়ে আমাদের বিজয়ী করেছে। অতএব, বাড়ি বাড়ি গিয়ে বুঝিয়ে ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে।”