সংশ্লিষ্টরা তো বটেই, ভূ-রাজনৈতিক ভাষ্যকাররাও দীর্ঘদিন ধরে এশিয়াকে বৈশ্বিক ভূ-অর্থনীতির নতুন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করে আসছেন। এশিয়ায় কী ঘটে, তা দুটি কারণে বিশ্বের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, এশিয়ায় বিশ্বের জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি বাস করে এবং বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এখানে ঘটে। এভাবে এশিয়া বৈশ্বিক অগ্রগতির ইঞ্জিন হয়ে আছে।
কিন্তু এশিয়া তো শুধু মনোহর অভিনেতা কিংবা মনোরম বাগানের মতো নয়। এখানেই ভৌগোলিকভাবে বিশ্বের বৃহত্তম সাতটি সামরিক বাহিনী রয়েছে। এভাবে এশিয়া একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ স্থান; জাতি ও জাতিসত্তাগুলোর এক বর্ণিল আবাসস্থল। ইউরোপের মতো এশিয়ায় জাতীয়তাবাদ নিষিদ্ধ কিছু নয়। গত সাত দশকে বেশিরভাগ এশীয় রাষ্ট্র উপনিবেশমুক্ত হয়েছে। তারা উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং পরিচয় টিকিয়ে রাখার ব্যাপারে প্রচণ্ড সজাগ। এর সম্ভাব্য ফলাফল হিসেবে এশিয়ার রাজনীতি অত্যন্ত গতিশীল ও প্রাণবন্ত। তাই ভূ-অর্থনীতি ছাড়াও এশিয়া ভূ-রাজনীতির একটি গুরুতর মঞ্চ। চীনের উত্থান এই ভূ-রাজনৈতিক গতিশীলতাকে আরও জটিল করে তুলেছে।