মাদকের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণাসহ সরকার নানা উদ্যোগ নিলেও দেশে মাদকসেবীর সংখ্যা প্রত্যাশা অনুযায়ী কমেনি, বরং বেড়েছে। সে কারণে মাদক নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি। এই পরিস্থিতিতে মাদকের বিরুদ্ধে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছে তারা।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় মাদক নিয়ন্ত্রণসহ আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা ও সুপারিশ করা হয়। সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এসব তথ্য জানান। বৈঠকে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির সদস্য হিসেবে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভিন্ন সংস্থার শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
পর্যায়ে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘মাদকের ক্ষেত্রে (নিয়ন্ত্রণে) আমাদের ব্যর্থতা থাকলেও জঙ্গিদের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। এককালে দেশে জঙ্গিবাদের যেমন উত্থান হয়েছিল, সেটি স্বাভাবিক পর্যায়ে রাখতে সরকার সক্ষম হয়েছে। এটি ইতিবাচক বিষয়। আমরা উদ্বিগ্ন যে মাদকসেবীদের সংখ্যা আশানুরূপ কমেনি, বরং বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক ক্ষেত্রে। এ জন্য অভিভাবকদের সঙ্গে সমাবেশ করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি।’
মাদক নির্মূলের জন্য গণমাধ্যম যেন সচেতনতামূলক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, সে প্রত্যাশা জানান মন্ত্রী। ডোপ পরীক্ষার ফলের মেয়াদ তিন দিন থাকাটাও সমস্যার বলে মনে করেন তিনি।
নিবন্ধন না করলে অনলাইন পত্রিকা বন্ধের আহ্বান
যেসব অনিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকা আছে, সেগুলোকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন নিতে বলেছে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি। এ বিষয়ে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, কোনো জিনিস ‘ফ্রি স্টাইল’ হতে পারে না। নিবন্ধন থাকলে জবাবদিহি চাওয়া যায়। শুধু নামসর্বস্ব পত্রিকা মানুষকে বিভ্রান্ত করার সুযোগ পায়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন না করলে সেগুলো যেন বন্ধ করে দেওয়া হয়।