প্রায় তেইশ বছর পর সে ফিরে এসেছে তার নানাবাড়ি, মায়ের বাপের বাড়ি, যেখান থেকে তার মাকে বের করে দেওয়া হয়েছিলো, তেইশ বছর আগে, যখন সে আর তার যমজ ভাই ছিল আট বছর বয়সী। বের করে দিয়েছিলেন তাদের একমাত্র মামা, যিনি অক্সফোর্ড ফেরত এবং নানার যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির একমাত্র উত্তরাধিকারী। সেই মামা এখন আর থাকেন না পুরোনো আমলের এই বাড়িতে। নানিও মারা গেছেন কিছুদিন আগে। নানার এক অবিবাহিত ছোট বোন, মায়ের ছোট ফুফু আর তার গৃহকর্মী এখন এবাড়ির বাসিন্দা। সে এসেছে তার যমজ ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে, যে এতদিন ছিল তাদের বাবার কাছে। কিছুদিন আগে বাবা চিঠি লিখে অপারগতা জানিয়ে বলেছেন ছেলেকে আর প্রতিপালন করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না, তিনি ছেলেটিকে ফেরত পাঠালেন প্রাক্তন স্ত্রী, যিনি বর্তমানে মৃত, সেই নারীর বাপের বাড়িতে, যেখানে আইনত তার কোনো অধিকারই নেই, অবধারিতভাবে নেই তার সন্তানদেরও। সে নানাবাড়ির ছাদে লাগানো অতিকায় ডিশ এনটেনাটার দিকে তাকিয়ে ভাবে, সে আর তার ভাই তো এই বড় ডিশটার মধ্যেই ঘুমাতে পারে, মায়ের গর্ভে যেমন গুটিসুটি মেরে ছিল একসঙ্গে!