বিশ্বের অনেক দেশেই গ্রীষ্মকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি দেওয়া হয়। উন্নত বিশ্বে এ সময়ে দীর্ঘ ছুটি থাকে, যা তাদের জন্য বিনোদন ও ভ্রমণের উত্তম সময়। অনেকেই শিশুদের নিয়ে ভ্রমণে যান, যাতে তারা গরমের অবকাশ উপভোগ করতে পারে। তাদের একাডেমিক ক্যালেন্ডারে এটা নির্দিষ্ট করাই থাকে। ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা আগে থেকেই সে ছুটি উপভোগের পরিকল্পনা করেন।
আমাদের দেশেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালীন ছুটি থাকে। কিন্তু সেটা অনেক কিছুর ওপর নির্ভরশীল। একেক প্রতিষ্ঠানের ছুটির সময়, ছুটির পরিমাণ একেক রকম। কোনো প্রতিষ্ঠান গ্রীষ্মের শুরুতে, কোনোটি মাঝামাঝি, আবার কিছু প্রতিষ্ঠান শেষের দিকে ছুটি দিয়ে থাকে। ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পক্ষে ছুটি উপভোগ করার সুযোগ থাকে কম। যেমন একজন অভিভাবকের দুই সন্তান যদি দুটি ভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করে, তাহলে এমন সমস্যায় পড়তে হয়। এক সন্তানের ছুটি যখন শেষ হয়, তখন অন্য সন্তানের ছুটি শুরু। এখানে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থাৎ প্রাথমিক থেকে কলেজগুলো সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ছুটি দিয়ে থাকে। আবার সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলে নিজস্ব ক্যালেন্ডারে।