শিশুকালে রূপকথার গল্পে সোনার থালা-বাসনে খাবার খাওয়ার মধ্যে একধরনের বিলাসিতা ও বাহাদুরির কথা শুনেছিলাম। মূলত, অচিনপুরের রাজা ও রাক্ষস-খোক্কস এবং আরব্য উপন্যাসে সোনা, রুপা, হীরা, মতি, চুণি-পান্না, জহরত ইত্যাদির তৈরি প্রাসাদ, পোশাক, খাবারের অলীক কথা শুনেছি। এরপর কিছু বড় হয়ে অনেক ধনী দেশের রাজা-বাদশাহর মধ্যে সোনার সিংহাসন, স্বর্ণমুকুট, সোনার সুতাখচিত পোশাক, পালঙ্ক, তৈজসপত্র নানা কিছু ব্যবহারের কথা শুনেছি। এরপর রাজা-বাদশাহ ছাড়াও যুগে যুগে অতি বিত্তশালী, জমিদারদের বিলাসব্যসনে সোনা-রুপা, হীরা, মতি, চুণি-পান্না ব্যবহারের কথা জানা যায়।
ষোড়শ শতাব্দী থেকে মিশরের বিখ্যাত হাকিমগণ রাজকীয় দাওয়াই তৈরি করতে স্বর্ণ ব্যবহার শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে ধনী ব্যক্তিরা পৌরুষ বাড়াতে বোতলের মধ্যে কস্তুরি, স্বর্ণভষ্ম ইত্যাদির মিশ্রণ করা সিরাপ গ্রহণে উত্সাহী হয়ে পড়ে। সেই থেকে আধুনিক কালেও কোনো কোনো কবিরাজি, আয়ুর্বেদি ওষুধে এসব ব্যবহূত হয়ে থাকে। তবে এতে কারো আয়ু বৃদ্ধি হয় কি না, তা জানা নেই।