স্বামীর মৃত্যুর পর একমাত্র শিশুসন্তানকে কাঠের দোকানে কাজে দিয়েছিলেন এক নারী। কিন্তু মো. সাফায়েত ইসলাম নামের সেই শিশুর কাজ ভালো লাগত না। ২০২০ সালের শুরুতে ১১ বছর বয়সে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার বাড়ি ছেড়ে রাজধানীর সদরঘাটে আসে। এখন সে বরিশালগামী লঞ্চে শিশুদের জন্য প্যাকেটজাত কম দামি খাবার বিক্রি করে।
বাবার মৃত্যু ও মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের পর মো. রনি হাসানের পরিবারে জায়গা হয়নি। রনির ভাষায়, তার ছয়-সাত বছর বয়সে তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর নাটোর থেকে ট্রেনে চেপে রাজধানীতে আসে সে। এখন সে কারওয়ান বাজারে ‘ফোর স্টার ট্রেডার্স’ নামের একটি দোকানের সামনে রাখা ভ্যানে রাত-দিন থাকে, আর প্লাস্টিকের বোতল কুড়িয়ে বিক্রি করে।
গুলশান-২ নম্বর চত্বরে বেলুন বিক্রি করে সুমাইয়া (৯)। শিশুটি জানাল, কাছাকাছি এলাকায় তার বাবা হায়দার আলীও বেলুন বিক্রি করেন। সন্ধ্যার পর বাবার সঙ্গে সে কমলাপুরের বাসায় ফেরে।
দারিদ্র্যের কারণে শিক্ষা ও সুরক্ষাবঞ্চিত এসব শিশু শৈশব থেকেই নিজেদের দায়িত্ব নিজেরা নেয়। তাদের নানা নির্যাতনের শিকার হতে হয়।
এসব শিশুকে শ্রম থেকে সরিয়ে সুরক্ষিত করার লক্ষ্যে আজ ১২ জুন পালিত হচ্ছে বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ‘শিশু শিক্ষা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করি, শিশুশ্রম বন্ধ করি’।