শিক্ষার্থীদের উপর ইন্টারনেট তথা অন্তর্জালের প্রভাব লইয়া বেসরকারি সংস্থা আঁচল ফাউন্ডেশনের গবেষণা প্রতিবেদনে যাহা বলা হইয়াছে, উহা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। গবেষণা প্রতিবেদনটির বরাত দিয়া রবিবার সমকালের এক প্রতিবেদনে বলা হইয়াছে, জরিপে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ৭২ শতাংশেরও অধিক কোনো না কোনো সময় মানসিক সমস্যায় ভুগিয়াছে, আর তাহাদের ৮৫ শতাংশের ক্ষেত্রে দায়ী হইল অন্তর্জালে আসক্তি। সংস্থাটি শনিবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে উক্ত গবেষণার ফল প্রকাশ করে।
আধুনিক জীবনযাত্রায় অন্তর্জাল ইতোমধ্যে একটা আবশ্যকীয় বিষয়ে পরিণত হইয়াছে। উপরন্তু অন্তর্জাল বিপুল তথ্যের ভান্ডার। ফলে শিক্ষার্থীদের অন্তর্জালের উপর নির্ভরতা অস্বাভাবিক কিছু নহে। তবে ইহাও সত্য, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমরূপেও অন্তর্জালের ব্যবহার ব্যাপক, যথায় প্রায় সকল বয়সের মানুষের উপস্থিতি থাকিলেও তরুণদের উপস্থিতি অন্য সকলের অপেক্ষা অধিক। অন্যদিকে উহাতে বহু প্রয়োজনীয বিষয় থাকিলেও অপ্রয়োজনীয় বিষয়ের ছড়াছড়িও কম নহে। ফলে অন্তর্জাল ব্যবহারে উপযুক্ত ব্যবস্থাপনা না থাকিলে ইহা উপকারের পরিবর্তে অধিকতর অপকার ঘটাইতে পারে। তাই আঁচল ফাউন্ডেশনের আলোচ্য গবেষণায় সঠিকভাবেই উঠিয়া আসিয়াছে, শিক্ষার্থীদের প্রায় অর্ধেকেরই পড়াশোনার সময় অন্তর্জালে প্রবেশ করিলে তাহাদের মনোযোগ হারাইয়া যায়। কেহ আবার নিষিদ্ধ বস্তুতে আকৃষ্ট হইয়া পড়ে।