উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে এক মাসের বেশি সময় আমাজন জঙ্গলে কাটানো চার শিশু মূলত কাসাভার ময়দা খেয়ে বেঁচে ছিল। ওই ময়দা যখন শেষ হয়ে যায় তখন তারা জঙ্গলের ভেতরে ফলমূল সংগ্রহ করে খেয়ে টিকে ছিল। কলম্বিয়ার সেনাবাহিনী ও শিশুদের স্বজনেরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
কলম্বিয়া সেনাবাহিনীর মুখপাত্র সানচেজ সুয়ারেজ সাংবাদিকদের বলেছেন, শিশুরা তিন কেজি ‘ফারিনা’ খেয়ে ছিল। ফারিনা হলো কাসাভার ময়দার একটি ধরন, যেটা ততটা মসৃণ নয়। এই খাবার আমাজন অঞ্চলের আদিবাসী সম্প্রদায়গুলো খেয়ে থাকে।
সেনাবাহিনীর ওই মুখপাত্র বলেন, উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার পর বেশ কিছুদিন শিশুরা তাদের সঙ্গে নিয়ে যাওয়া ওই খাবার খেয়ে থাকে। যখন খাবার ফুরিয়ে আসে তখন তারা এমন জায়গার খোঁজ করতে থাকে, যেখানে তারা টিকে থাকতে পারবে।
গত ১ মে মায়ের সঙ্গে উড়োজাহাজে করে আমাজন অঞ্চলের আরারাকুয়ারা গ্রাম থেকে সান হোসে ডেল গুয়াভিয়ারে যাচ্ছিল ওই চার শিশু। সিসনা একক ইঞ্জিনের ছোট ওই উড়োজাহাজে চার শিশুর সঙ্গে মোট তিনজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ছিলেন। ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় পাইলট জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। কিছুক্ষণ পর সেটি রাডার থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।