রোদপোড়া বা প্রদাহ, ত্বকের নানান সমস্যা সমাধানে দই ব্যবহার উপকারী।
গরমে আরাম পেতে পানি পানের পরিমাণ বাড়ানোর পাশাপাশি তাজা ফল খাওয়া প্রয়োজন। এসবের পাশাপাশি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার কথা ভুললে চলবে না।
হায়দ্রাবাদের ‘কামিনেনি হসপিটাল’য়ের জ্যেষ্ঠ ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. কুনা রামদাস হেল্থশটস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও বলেন, “আর এই সময়ে ত্বকের যত্নে দই ব্যবহার করা বেশ উপকারী।”
স্বাস্থ্যোপকারিতা: দই অত্যাবশ্যকীয় ভিটামিন ও খনিজ যেমন- ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। তাই স্বাভাবিকভাবেই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
এটা ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস যা হাড় ও দাঁত ভালো রাখতে সহায়তা করে।
এতে আছে প্রোবায়োটিক, যা হজমের সমস্যা কমায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
প্রোবায়োটিক প্রদাহ কমায় যা একজিমা ও ব্রণের সমস্যা সমাধানে সহায়ক।
দই প্রোটিনের ভালো উৎস। ফলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
ত্বক পরিচর্যায় দই ব্যবহার: ত্বক পরিচর্যার রুটিনে দই যোগ করা যায়। এতে থাকা ল্যাক্টিক অ্যাসিড ত্বক আলতোভাবে এক্সফলিয়েট করে মৃত কোষ দূর করে। এর ‘অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল’ উপাদান ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়া দূর করতে সহায়তা করে।
ডা. রামদাস আরও জানান, এতে আছে জিংক যা ত্বকের তেল উৎপাদন কমায় এবং প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। নিয়মিত দই ব্যবহারে ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে ও উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
দইয়ের ফেইস মাস্ক
এক টেবিল-চামচ টক দইয়ের সাথে এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করতে হবে। শুকানোর জন্য ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
এই প্রাকৃতিক ফেইস মাস্ক ত্বক আর্দ্র রাখে এবং প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।