একটা সময় ছিল যখন আমলা, প্রকৌশলী, চিকিৎসক ও ধনী ব্যবসায়ীদের ছেলেমেয়েরা এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার পর বিদেশে পড়তে যেতো। তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা বিশ্বের সব বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তো। আরেকটা অংশ রাজনৈতিক সুবিধায় সোভিয়েত রাশিয়া, পূর্ব জার্মানি, হাঙ্গেরিতে পড়তে যেত। সমাজতান্ত্রিক দেশগুলো থেকে বেশিরভাগ ফিরে এলেও উল্টো চিত্র ছিল পশ্চিমা দেশের বেলায়। এরা ফিরে আসতো কম। আর ফিরে এলেও তাদেরই দখলে থাকতো বহুজাতিক কোম্পানিসহ বড় প্রইভেট সেক্টরের চাকরি।
কেউবা সরাসরি পারিবারিক ব্যবসায়। বৃত্তি নিয়ে গ্রাম বা শহর থেকে যে অনেক অতি সাধারণ পরিবারের ছেলেমেয়েও বিদেশ যেতো। আর যেতো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক যারা এমএস বা পিএইচডি করতে যেতেন। বিশ্ববিদ্যালয় হতে ছুটি গ্রহণ করে বিদেশে পাড়ি জমালেও আর দেশে ফিরতেন না অনেকে। সেই ধারা এখনও অব্যাহত আছে।
এখন চিত্র বদলে গেছে। মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত এমনকি গরিব ঘরের ঘরের ছেলেমেয়েরাও বিদেশে উচ্চ শিক্ষা নিতে যাচ্ছে। আমার মতো অতি সাধারণ চাকরিজীবীর কন্যাও বৃত্তি নিয়ে পড়ছে বিদেশে। নিজেকেও কিছু খরচ বহন করতে হয়। চিত্রটা বদলালো কেন? কেন ছেলেমেয়েরা দেশে থাকতে চায় না? একটা বড় কারণ দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ কমছে। চাকরির বাজারের বেহাল দশা। একটা সাধারণ ধারণা তৈরি হয়েছে যে, এদেশে পড়াশোনা করেই বা কী হবে?